এম.মনছুর আলম,চকরিয়া :

কক্সবাজারের চকরিয়ায় জনতার সহয়তায় পৃথক স্থানে ৫ জন সন্ত্রাসীকে জনতা পাকড়াও করে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। এ সময় সন্ত্রসীর কাছ থেকে দেশীয় তৈরী দুটি বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। ধৃত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র্র আইনে দুটি মামলা দায়ের করেছে।২৪ আগস্ট (শুক্রবার) ভোররাত দেড়টার দিকে ও ২৩ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার উত্তর হারবাং ও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী এলাকা থেকে অস্ত্রসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক সন্ত্রাসীরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের মছনিয়াকাটা এলাকার মৃত আবদুল্লাহর ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩৫), মৃত মীর্জা আবদুল মজিদের ছেলে জাকির হোছন (৫১), রশিদ আহমদের ছেলে আবদুল গফুর (২৬), পূর্ব বড় ভেওলা ইউনিয়নের হাজী রওশন আলী সিকদার পাড়া এলাকার আবদু শুক্কুরের ছেলে মনছুর আলম (৩২)। তাদের কাছ থেকে একটি অর্ধ প্রস্তুতকৃত বন্দুক উদ্ধার হয়।এ ছাড়াও ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী থেকে আটক করা হয় মৃত কবির আহমদের ছেলে আহাম্মদ হোছন (৫০)। তার কাছ থেকে একটি দেশীয় তৈরী একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার হয়। আটককৃতদের বিরুদ্ধে থানার (এস.আই) মো. জাকির হোসেন ও (এস.আই) মো.ইসমাইল বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ইয়াসির আরাফাত কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উত্তর হারবাং এলাকায় শুক্রবার ভোররাতে জমি দখল করতে গেলে স্থানীয় লোকজন অস্ত্রসহ চার ব্যক্তিকে পাকড়াও করে থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাদের আটক করে।অপরদিকে উপজেলার ডুলাহাজারা ইউনিয়নস্থ ডুমখালী এলাকায় বাড়ির পাশে রাস্তার উপর বন্দুক নিয়ে আহাম্মদ হোছন নামের একজন সন্ত্রাসী ঘোরাঘুরি করছিল। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে ঘেরাও করে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে দেশীয় তৈরি অস্ত্রসহ আটক করে।

ওসি তদন্ত আরো বলেন, আটক আহাম্মদ হোছনের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে বিভিন্ন অপরাধে ১৫-১৬টি মামলা রয়েছে। তৎমধ্যে বন মামলা ১০টি, অস্ত্র, হত্যাচেষ্টা দস্যুতাসহ আরো ৫টি মামলা আছে। হারবাং থেকে আটক জয়নাল আবেদীনের বিরুদ্ধে ৩টি পুরনো মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।